আগামী অক্টোবর মাস থেকে থ্রিজি চালু হওয়ার কথা থাকলেও আজ
সকাল ১১টা থেকেই সীমিত আকারে ৩.৫জি চালু করেছে রবি আজিয়াটা। প্রাথমিক
অবস্থায় ঢাকা ও বন্দরনগরী চট্টগ্রামে ৩.৫জি সেবা চালু করলো প্রতিষ্ঠানটি।
দেশে থ্রিজি লাইসেন্সপ্রাপ্তদের মোবাইল অপারেটরদের মধ্যে রবিই প্রথম এক
সঙ্গে দেশের দুটি প্রধান মহানগরে এই নেটওয়ার্ক চালু করলো।
আজ
শনিবার রবির কর্পোরেট অফিসে আনুষ্ঠানিকভাবে থ্রিজি সেবা উদ্বোধন করেন
টেলিযোগাযোগমন্ত্রী সাহারা খাতুন। এই উদ্বোধনের ফলে থ্রিজি ঢাকা ও
চট্টগ্রামে কাজ করছে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ
নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন
আহমেদ, রবির চিফ ফিন্যান্সিয়াল অফিসার (সিএফও) মাহতাব উদ্দিন আহমেদ,
রবির
মার্কেট অফিসার (সিএমও) প্রদীপ শ্রীবাস্তব, চিফ টেকনোলজি অফিসার একেএম
মোরশেদ, এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মাহমুদুর রহমান, ভাইস প্রেসিডেন্ট
তালাত কামাল।
আগামী অক্টোবর মাস থেকে বাণিজ্যিকভাবে এই সেবা পাবেন
গ্রাহকরা। এ বছরের মধ্যেই ঢাকা, চট্টগ্রাম ছাড়াও কুমিল্লা ও সিলেটে এ সেবা
চালু হবে।
আর আগামী ২০১৪ সালের প্রথম প্রান্তিকের মধ্যে ৩৫ শতাংশ
থ্রি-জি সুবিধার আওতাভুক্ত হবে। থ্রিজি প্রযুক্তি খাতে রবি ২০০ মিলিয়ন
মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করবে।
সিইও বলেন, আমাদের সবার জন্যই এটি নতুন একটি প্রযুক্তি এবং শুধু গতি নয়, আমরা মানসম্পন্ন সেবার দিকে নজর দেবো।
এশিয়া
জুড়ে দক্ষভাবে থ্রিজি ও এলটিই (লং টার্ম এভ্যুলেশন) সেবা প্রদানকারী
আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান আজিয়াটার সহায়তায় রবি থ্রিজি সেবা প্রদান করবে
বলে জানান সংস্থার সিইও ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাইকেল ক্যুনার।
তবে
গ্রাহকরা চাইলে এখনই থ্রিজি সেবা উপভোগ করায় যায় এমন হ্যান্ডসেট ও
ট্যাবলেট নিযে ঢাকার গুলশান ও চট্টগ্রামের মুরাদপুর ওয়াক-ইন সেন্টারে রবির
৩.৫ জি সেবা ব্যবহারের অভিজ্ঞতা নিতে পারবেন।
আগামী অক্টোবর মাসে ৩.৫জি সেবা চালু করার ঘোষণা দিয়েছিল রবি আজিয়াটা লিমিটেড। তবে এর আগেই তারা এটি সীমিত আকারে চালু করলো।
গত
৮ সেপ্টেম্বর বিটিআরসি আয়োজিত তৃতীয় প্রজন্মের (থ্রিজি) তরঙ্গ নিলাম
থেকে রবি আজিয়াটা লিমিটেড ৫ মেগাহার্টজ স্পেকট্রাম কিনে নেয়।
এরপর
১২ সেপ্টেম্বর থ্রিজি লাইসেন্স পায় রবি। রবির সিইও ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক
মাইকেল ক্যুনার বলেন, থ্রিজি সেবার মাধ্যমে বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ শিল্পে
নতুন অধ্যায়ের সূচনা হলো।
এর মাধ্যমে বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত অগ্রসর টেলিযোগাযোগ বাজারে প্রবেশ করলো বাংলাদেশ।