রবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাইকেল ক্যুনার বলেন, থ্রি পয়েন্ট ফাইভ জি চালু করতে নতুন করে সংযোগ নিতে হবে না, পুরনো সিমেই তা চালু করা যাবে কোনো ধরনের ফি ছাড়াই।
এই সেবা দিতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে বলে জানান তিনি।
থ্রি পয়েন্ট ফাইভ জি’র ব্যাখ্যা দিয়ে রবির চিফ টেকনোলজি অফিসার এ কে এম মোরশেদ বলেন, “১০ বছর আগে যখন থ্রি জি এসেছিল, তখন অনেক কম গতির ছিল, বর্তমানে নেটওয়ার্ক অনেক উন্নত হয়েছে, সে জন্যই থ্রি পয়েন্ট ফাইভ জি নেটওয়ার্ক ব্যবহার করা হবে।”
রবির আগে গ্রামীণফোন অক্টোবরে থ্রি জি সেবা চালুর ঘোষণা দিয়েছে। থ্রি জি নিলামে তরঙ্গ বরাদ্দ নেয়া বাংলালিংক ও এয়ারটেল এখনো কোনো ঘোষণা দেয়নি।
রূপসী বাংলা হোটেলে সংবাদ সম্মেলনে মাইকেল ক্যুনার বলেন, অক্টোবরের শুরুতে ঢাকায় থ্রি পয়েন্ট ফাইভ জি সেবা চালু করবেন তারা। এরপর পর্যায়ক্রমে চট্টগ্রাম, সিলেট ও কুমিল্লায় তা সম্প্রসারিত করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে রবির চিফ ফিন্যানসিয়াল অফিসার মাহতাব উদ্দিন আহমেদ, মার্কেট অফিসার প্রদীপ শ্রীবাস্তবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
থ্রি জি নীতিমালা অনুসারে অপারেটররা ১৫ বছরের জন্য এই লাইসেন্স পাচ্ছেন।
গত রোববার নিলাম শেষে বিটিআরসির চেয়ারম্যান সুনীল কান্তি বোস সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, নিলামে অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রথম কিস্তিতে মোট টাকার ৬০ শতাংশ জমা দিতে হবে ৩০ দিনের মধ্যে। বাকি টাকা ১৮০ কর্মদিবসের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে।
টাকা জমা দেয়ার ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে লাইসেন্স দেয়া হবে বলে সুনীল কান্তি বোস জানান।
তবে কোনো অপারেটর নয় মাসের মধ্যে সব বিভাগে সেবা চালু করতে না পারলে ৫০ কোটি টাকা জরিমানা গুণতে হবে।
No comments:
Post a Comment